বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে ভোটের মাঠের পরিস্থিতিতে বিশেষ নজর রাখতে ৭২ ঘণ্টার জন্য মনিটরিং সেল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ওই মনিটরিং সেল ৭ জানুয়ারি ভোটের আগের দিন ৬ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ৯ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত সারা দেশে নজরদারি করবে বলে জানা গেছে।
ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাঠের পরিস্থিতিতে নজর রাখতে কেন্দ্রীয় ও সাব-মনিটরিং সেল গঠন করা হবে। এই মনিটারিং সেলে মোট ৩০৫ জন দায়িত্ব পালন করবেন।
প্রতি দেড় ঘণ্টা পর পর নির্বাচন কমিশনকে রিপোর্ট দেবে। কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেলে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের তিনজন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন, পুলিশের একজন, র্যাবের একজন, বিজিবির একজন, আনসার-ভিডিপির একজন, সশস্ত্র বাহিনীর একজন, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর দুইজনসহ মোট ১১ জন দায়িত্বে থাকবেন। মনিটরিং সাব-সেলে ৩০ জনসহ মোট মনিটরিং সেলে দায়িত্ব পালন করবের ৩০৫ জন। এ ছাড়া সারা দেশের রিটার্নিং কর্মকর্তারা এই মনিটরিং সেলের আওতাভুক্ত হবে।
মনিটরিং সেল যেসব দায়িত্ব পালন করবে- কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল এবং সাব-সেল থেকে প্রাপ্ত তথ্যগুলো; স্ব-স্ব নির্বাচনী এলাকার ম্যাপ; সংশ্লিষ্ট জেলার ডিসিদের নাম ও মোবাইল নাম্বার, নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং, সহকারী রিটার্নিং, প্রিজাইডিং এবং সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের নামীয় তালিকা এবং ফোন নম্বর; সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার থানার ওসিদের নাম ও মোবাইল নাম্বার; আসনভিত্তিক বিভিন্ন অঞ্চলের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ফোন নম্বর ও প্রয়োজনীয় তথ্য; দৈনিক ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট পর পর রিপোর্ট প্রদান, (ক্রোড়পত্র ‘ক’-তে ঘটনার প্রতিবেদন ফরম সংযুক্ত) বিশেষ রিপোর্ট প্রদান; স্ব-স্ব নির্বাচনী ৩০০ আসনে মনোনীত পদপ্রার্থীর প্রতীক এবং প্রয়োজনীয় তথ্য।
মনিটরিং সেলের কার্য পরিধিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী মনিটরিং সেলের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে মাঠ পর্যায়ে যথাসম্ভব যাচাই-বাছাই করা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনকে অবহিতকরণ (১.৫ ঘণ্টা পর পর) এবং জরুরি প্রয়োজনে বিশেষ প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে। সেলে অন্তর্ভুক্ত সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধি কর্তৃক নির্বাচন উপলক্ষে মোতায়েনকৃত আইন-শৃঙ্খলা সদস্যদের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জ্ঞাতকরণ ভোটকেন্দ্র বা নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় সাধন বিভিন্ন নির্বাচনী মালামাল পরিবহন, বিতরণ এবং ভোটগ্রহণ কাজে নিরাপত্তা বিধানের জন্য মোবাইল ও ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় করে রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং ও প্রিজাইডিং অফিসারদের সহায়তা প্রদান সংস্থার নিজস্ব যোগাযোগ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা তাৎক্ষণিকভাবে মাঠ পর্যায়ে নিয়োজিত বাহিনীকে অবহিত করা।
Leave a Reply